কখনও নাহিদ রানার গতি, কখনো ফরচুন বরিশালের ব্যাটারদের পরাস্ত করলো খুশদিল শাহের স্পিন। তাতে তারা আটকে গেল অল্পতেই।ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর রাইডার্সের দুই ব্যাটার ফেরান শূন্যতে। তবে অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসানের শতরান পেরোনো জুটিতে সহজ জয়ই পেয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১২৪ রানে অলআউট হয় বরিশাল। পরে এই রান তাড়া করতে নেমে ৫ ওভার আগেই জয় পায় রংপুর।শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় ফরচুন বরিশাল। ১০ বলে ৯ রান করে মাহেদী হাসানের শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন নম্বরে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। ৬ বলে ৪ রান করে তিনি শিকার হন আকিফ জাভেদের।
চালিয়ে খেলতে থাকা তামিম ইকবালও ইনিংস খুব বেশি বড় করতে পারেননি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ বলে ২৮ রান করে নাহিদ রানাকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এরপর কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ৩১ বলে ৩০ রানের এই জুটি ভাঙতেই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বরিশালের ব্যাটিং। ১৪ বলে ১৩ রান করে খুশদিল শাহের বলে এলবিডব্লিউ হন মুশফিক। ১৪ বলে ১৩ রান করা মেয়ার্স শিকার হন ইফতেখার আহমেদের।
৫০ রানের ভেতর ছয় উইকেট হারিয়ে ১০ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় বরিশাল। রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন খুশদিল শাহ। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুই উইকেট পান নাহিদ রানা।
রান তাড়ায় নেমে শূন্য রানেই আউট হন বিপিএলে অভিষিক্ত আজিজুল হাকিম তামিম। আরেক অভিষিক্ত ও তামিমের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ ইকবাল হোসেন ইমনের বলে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩ বলে শূন্য রানে ফেরেন তৌফিক খান তুষারও।
১৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অবশ্য আর চাপে পড়তে হয়নি রংপুরকে। শতরান পেরোনো জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলস। ৪০ বলে ৪৩ রানে হেলস ও ৪৬ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফ। ৮১ বলে ১১৩ রানের জুটি ছিল তাদের।