রিজা হেনড্রিকস তার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে আবির্ভাবের দশম বছরে। তার চমৎকার ইনিংসে ২০২২ সালের আগস্টের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের সাইম আইয়ুবের ৯৮ রান ছাপিয়ে হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডুসেনের জুটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে প্রোটিয়ারা।
সুপারস্পোর্ট পার্কে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় সাফল্য লাভ করে আট সিরিজের টি-টোয়েন্টি ট্রফি খরা ঘুচিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আয়ারল্যান্ডকে দুই বছরেরও বেশি সময় আগে হারানোর পর এবার সিরিজ জিতলো প্রোটিয়ারা। ২০২৩ সালের মার্চে কোচিংয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি রব ওয়াল্টারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।
টসে হেরে আগে ফিল্ডিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সুপারস্পোর্ট পার্কে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান দেয় এবং সেই রান তাড়া করে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় তিন বল বাকি থাকতে। হেনড্রিকস ও চারে ব্যাটিংয়ে নামা রাসি ফন ডার ডুসেন তৃতীয় উইকেটে ৮৩ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ ১৫৭ রান করে এই জয়ে ভূমিকা রাখেন।
ফন ডার ডুসেন নিজের সপ্তম ফিফটি করেন এবং অন্য প্রান্তে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আইনরিখ ক্লাসেনকে রেখে ছক্কা মেরে দলকে জেতান।
পাকিস্তান আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুইশ অতিক্রম করে। যদিও আরও বেশি রান তাদের পাওয়ার কথা ছিল। ১১ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১০৩, ১৬ ওভার শেষে তা দাঁড়ায় চার উইকেটে ১৩৬। এই পাঁচ ওভারের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয়, অভিষিক্ত ডায়ান গালিয়েম ও বাঁহাতি স্পিনার জর্জ লিন্ডে বড় ভূমিকা রাখেন।
এই ধাক্কা খাওয়ার আগে পাকিস্তানের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন সাইম আইয়ুব। বাবর আজমকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ বলে ৮৭ এবং পঞ্চম উইকেটে ইরফান খানের সঙ্গে ৩২ বলে ৭৩ রানের জুটিতে পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ দুইশ পার করেন সাইম।
কিন্তু সেই রান যথেষ্ট ছিল না। হেনড্রিকস ও ফন ডার ডুসেন অভিজ্ঞ হাতে পাকিস্তানকে হারিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৭ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কুইন্টন ডি কককে পেছনে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড ১৮তম পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন হেনড্রিকস। ৬৩ বলে ৭ চার ও ১০ ছয়ে ১১৭ রান করেন তিনি। দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া ওপেনার। ৩৮ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ফন ডার ডুসেন।
শনিবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৬/৫ (রিজওয়ান ১১, সাইম ৯৮*, বাবর ৩১, উসমান ৩, তৈয়ব ৬, ইরফান ৩০, আব্বাস ১১*; গালিয়েম ৪-০-২১-২, মাফাকা ৩-০-৪১-০, ফেরেইরা ৩-০-৩৭-০, বার্টম্যান ৪-০-৫১-২, পিটার ২-০-২৮-০, লিন্ডা ৪-০-২৮-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৩ ওভারে ২১০/৩ (হেনড্রিকস ১১৭, রিকেলটন ২, ব্রিটস্কি ১২, ফন ডার ডাসেন ৬৬*, ক্লাসেন ৮*; শাহিন আফ্রিদি ৪-০-৩৭-০, জাহানদাদ ৪-০-৪০-২, রউফ ৪-০-৫৭-০, আব্বাস আফ্রিদি ৩.৩-০-৪৬-১, আবরার ৪-০-২৯-০)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: রিজা হেনড্রিকস।