1. admin@bartomankagoj.com : admin :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন

বর্তমান কাগজ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫০ বার পঠিত
aircraft MRO facility

aircraft MRO facility

বাংলাদেশে বিমান মেরামতের কারখানা করতে চায় কানাডিয়ান কোম্পানি
বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করার জন্য বাংলাদেশে একটি বাণিজ্যিক এমআরও ফ্যাসিলিটি করতে চায় কানাডার আইএমপি ক্যাসকেড অ্যারোস্পেস। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক এমআরও (মেইনটেইন্যান্স, রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহোলিং) হলে বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে এবং দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে বলে মনে করেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে যখন কানাডায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হয় তখন প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি কাজের দায়িত্ব দেন। তার মধ্যে ঢাকা-কানাডা-ঢাকা বিমান ফ্লাইট এবং বাংলাদেশে বাণিজ্যিক এমআরও স্থাপন অন্যতম।’ক্যাসকেড অ্যারোস্পেসের সঙ্গে স্থাপনার বিষয়ে বিমানবাহিনী প্রধানও আলোচনা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে ক্যাসকেডের প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। এমআরও ফ্যাসিলিটি তৈরি হলে বড় অঙ্কের কানাডিয়ান বিনিয়োগ হবে বাংলাদেশে।’কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান সম্প্রতি আইএমপি ক্যাসকেড অ্যারোস্পেস অফিস পরিদর্শন করেন
বাণিজ্যিক এমআরও তৈরি হলে বাণিজ্যিক এবং বিমানবাহিনীর বিমানগুলো মেরামত করা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আইসি-১৩০ সিরিজের বিমানগুলো ক্যাসকেড অ্যারোস্পেসে মেরামত করা হয়।’

উল্লেখ্য, এই স্থাপনা লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে তৈরি করার কথা।

কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে

এমআরও ফ্যাসিলিটি তৈরি হলে বাংলাদেশের বিমানগুলো দেশেই মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি দেশে একটি দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে, সময় বাঁচবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আমাদের বিমানগুলো বিদেশে মেরামতের জন্য পাঠিয়ে থাকি। সেটি দেশে করা গেলে সবদিক থেকে ভালো।’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া আশপাশের দেশগুলোর বিমান মেরামতের জন্য বাংলাদেশে পাঠালে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।’

নীতিগত সম্মতি

বাংলাদেশে বাণিজ্যিক এমআরও স্থাপনা তৈরির বিষয়ে সরকার ও ক্যাসকেড অ্যারোস্পেসের মধ্যে সময় নির্দিষ্ট নীতিগত সম্মতি (এগ্রিমেন্ট ইন প্রিন্সিপ্যাল) রয়েছে, যা দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে শেষ হবে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এগ্রিমেন্ট ইন প্রিন্সিপ্যালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় আবার নতুন করে আলোচনা শুরু করতে হবে।’

এখন করণীয় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্যাসকেড অ্যারোস্পেসের আগ্রহ রয়েছে। এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এটি বাস্তবায়নে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা